আহলে হাদিস সম্প্রদায় ‘কাফের’ নয়: দেওবন্দ

 আহলে হাদিস সম্প্রদায় ‘কাফের’ নয়: দেওবন্দ

আহলে হাদিস সম্প্রদায় ‘কাফের’ নয়: দেওবন্দ



 আহলে হাদিস বা হাদিস ওয়ালা। যারা নিজেদের সব সময় হাদিস বা নবিজীর সুন্নাত মোতাবেক জীবন পরিচালনা করে থাকেন তাদের হাদিসওয়ালা বলা হয়। তবে বর্তমানে বহুল আলোচিত এক সম্প্রদায়কে বুঝানোর জন্য এ শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যারা নিজেদের সব সময় হাদিস মোতাবেক পরিচালিত করে বলে দাবি করে থাকেন। তবে বাস্তবতা এর ব্যতিক্রম।

‘গলদ মশহুর’ বা প্রশিদ্ধ ভুল হিসেবে পরিচিতি পাওয়া বর্তমান সমাজের ‘আহলে হাদিস’ সম্প্রদায় কি সত্যিকার অর্থেই ‘আহলে হাদিস’? তারা কি সব সময় নিজেদের প্রিয় নবীর সুন্নাত মোতাবেক পরিচালিত করেন? এই বিষয়ে ওলামায়ে কেরামের বক্তব্য হলো, তারা সত্যিকার অর্থে আহলে হাদিস নয়।

যাই হোক! এখন আলোচ্য বিষয় সেটি নয়। বরং যে সম্প্রদায়টি নিজেদের আলদাভাবে আহলে হাদিস সম্প্রদায় হিসেবে পরিচয় দেয়, তাদের এ পরিচয়ের কারনে তারা কি ঈমান থেকে খারিজ হয়ে গেছে? কিংবা আহলে হাদিস সম্প্রদায় থেকে কেউ ফিরে আসার পর কি পুনরায় তার বিয়ে পড়াতে হবে? কিংবা তাদের ঈমান কি নবায়ন করতে হবে? এমন একটি প্রশ্নই দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগে করা হয়।

প্রশ্নের জবাবে দেওবন্দ থেকে বলা হয়, আহলে হাদিস সম্প্রদায় ‘কাফের’ নয়। সুতরাং তাকে নতুন করে বিয়ে পড়াতে হবে না। কিংবা নতুন করে কালেমা পড়ে নবায়ন করতে হবে না তার ঈমান। বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করা হচ্ছে,

দেওবন্দের ওয়েবসাইটে প্রশ্নকারী ব্যক্তি তার প্রশ্নে উল্লেখ করেন, ‘আহলে হাদিস সম্প্রদায় কি ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত’ থেকে বের হয়ে গেছে? নিজের এক আত্মীয়ের কথা উল্লেখ করে প্রশ্নকারী প্রশ্নের বর্ণনায় উল্লেখ করেন, ‘আমাদের একজন আত্মীয় আহলে হাদিসের জালে ফেঁসে গেছে। সে আহলে হাদিসের মাসলাক মেনে চলত।

কিন্তু তার আত্মীয়র মাঝে একজন বিখ্যাত আলেম ছিলেন। সেই আলেম তাকে সংশোধন করে নিয়েছেন এবং তিনি বর্তমানে আমাদের ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত’ এর মাসলাক মোতাবেকই চলাফেরা করেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল, তিনি যখন ‘আহলে হাদিস’ হয়ে গিয়েছিলেন তখন কি ঈমান থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন? সেখান থেকে তিনি ফিরে আসার পর কি তাকে পুনরায় বিয়ে পড়াতে হবে?’

যিনি আহলে হাদিসের জালে ফেঁসে গিয়েছিলেন, পুনরায় সেখান থেকে ফিরে এসে বর্তমানে ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত’ এর মাসলাক মোতাবেক নিজেকে পরিচালিত করছেন। তাকে নতুন করে ঈমান আনতে হবে না। অথবা নতুন করে তার বিয়ে পড়ানোও জরুরি নয়। বরং সে শুধু তওবা-ইস্তেগফার করবে। এটাই তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।










Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন