তরমুজ তো খেয়েছেন, খরমুজের এতো গুণ কি জানেন – Muskmelon in Bengali

 


Muskmelon in Bengali


গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে অনেকেরই প্রথম পছন্দ হল তরমুজ। তরমুজের জুস, স্যালাড তো খেয়েই থাকেন, কিন্তু কখনও খরমুজ খেয়েছেন? শুধ নামই নয়, খরমুজ অনেকটা তরমুজের মতোই। রসালো, মিষ্টি স্বাদের এই ফল খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর। ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খরমুজ শরীর হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। ইমিউন সিস্টেমের জন্য এটি খুব উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন B6 সেইসঙ্গে ডায়েটারি ফাইবার ও ফলিক অ্যাসিডের মতো উপাদান।

খরমুজ কী ?

ভারত ও আফ্রিকার অঞ্চলে খরমুজের উৎপত্তি বলে অভিহিত করা হয়। তরমুজ জাতীয় এই ফলটি কাঁকুড়, ফুটি নামেও পরিচিত। নাম এর বৈজ্ঞানিক নাম Cucumis melo। দেশের প্রায় সব জায়গাতেই গ্রীষ্মকালে এর চাষ হয়। এই ফলের গাছ অনেকটা শসা গাছের মতো লতানো।

খরমুজ বেশ বড় আকারের হয়, পাকলে হলুদ রঙের হয়। ফলের বাইরের টিকটা মিষ্টি কুমড়োর মতো হালকা খাঁজযুক্ত। খেতে খুব বেশি মিষ্টি হয়, অনেকটা বেল বেল ধরনের। ভেতরটা ফাঁপা। এতে প্রচুর ফাইবার রয়েছে যা হজমশক্তি বাড়ায়। এতে চিনির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এটি খুব উপকারী।

খরমুজের উপকারিতা

খরমুজ কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, এর স্বাস্থ্যগুণও অনেক। এবার জেনে নিন সেগুলি কী কী –

১. ওজন কমায় : ক্যালোরির পরিমাণ কম এবং ফাইবার বেশি হওয়ায় খরমুজ ওজন কমাতে সাহায্য করে। রোগা হতে চাইলে প্রচুর খরমুজ খান, পেটও ভরবে আর ক্যালোরির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ফাইবার সমৃদ্ধ খরমুজ ওজন কমাতে দারুণ কার্যকরী। এটি দীর্ঘ সময় পেটের মধ্যে থাকে, পাচনতন্ত্রে প্রবেশ করতে বেশি সময় নেয়, তাই আপনার পেট অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভর্তি থাকবে (১)। যেহেতু এটি ধীরে ধীরে হজম হয়, তাই এটি আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখবে।

২. ক্যানসার প্রতিরোধ করে : ক্যানসারের নাম শুনলে গায়ে কাঁটা দেয়, এটি এমন একটি মারাত্মক রোগ যে কোনও মানুষের, যে কোনও সময় হতে পারে। ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে কিছু খাবার রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল খরমুজ।

খরমুজে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন সি এবং বিটা ক্যারোটিন রয়েছে, যা ফ্রি রেডিকেলগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং নির্মূল করতে পারে। ফ্রি রেডিকেলগুলি ক্ষতিকারক কারণ এগুলি দেহের কোষগুলিতে আক্রমণ করে এবং ক্যানসার সেলের বৃদ্ধি ঘটায় (২)

৩. চোখের সুস্বাস্থ্য : খরমুজ বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ যা দৃষ্টিশক্তির সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। শরীরে পৌঁছানোর পর এই বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিক হয় যা ছানি প্রতিরোধ করে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে (৩)। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে উচ্চ ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি ৪০% কমে যায়।

৪. ডায়াবেটিস নেফ্রোপ্যাথি প্রতিরোধ করে : ডায়াবেটিস নেফ্রোপ্যাথি হল কিডনির সমস্যা, এতে কিডনির কোষগুলি বিপজ্জনকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

“অক্সাইকাইন” নামে পরিচিত খরমুজ এক্সট্রাক্ট এই অবস্থাটি রোধ করতে পারে (৪)। এছাড়াও খরমুজে কম গ্লাইসেমিক সূচক (GI) রয়েছে এর অর্থ খরমুজে থাকা ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ একটি সরল চিনি। সুতরাং, এই ফলটি ডায়াবেটিস রোগী এবং যাদের ওবে সিটি রয়েছে তাদের জন্য নিরাপদ।

৫. ফুসফুসের জন্য উপকারী : ফুসফুসের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ফুসফুস হল অন্যতম সেরা একটি ফল।

যারা নিয়মিত ধূমপান করেন বা যারা ধোঁয়ার সংস্পর্শে আসেন তাদের জন্য খরমুজ খুব উপকারী। এটি শরীরে ভিটামিন এ-এর ঘাটতি পূরণ করে। ফুসফুসের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ধূমপায়ীদের জন্য বিশেষ করে অত্যধিক ধূমপানের কারণে যাদের ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের জন্য এটি উপকারী (৫)

৭. ইমিউন সিস্টেম : নিয়মিত খরমুজ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, যে কোনও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শরীরে শক্তি জোগায়।

খরমুজে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ দেহে শ্বেত রক্ত কোষকে উদ্দীপিত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে (৭)। শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হওয়ার কারণে, ভিটামিন সি কার্যকরভাবে শরীরে ফ্রি রেডিকেলগুলির সঙ্গে লড়াই করে। এর ফ্রি রেডিকেলের কারণে ত্বক তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় এবং অকাল বার্ধক্য চলে আসে। তাই যৌবন ধরে রাখতে আপনার ডায়েটে রাখুন খরমুজ।

৮. ধূমপানের অভ্যাস ছাড়ায় : যারা ধূমপানের অভ্যাস ছাড়তে চান তাদের জন্য খরমুজ খুব উপকারী। খরমুজে উপস্থিত খনিজ এবং পুষ্টিগুণ ধূমপানের অভ্যাস প্রত্যাহার করতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে শরীর থেকে হারিয়ে যাওয়া ভিটামিন এ-এর পুনরূদ্ধার করতে সাহায্য করে (৮)

৯. দাঁত ব্যথা : দাঁতের ব্যথা উপশমে খরমুজ দারুণ কাজ করে। ৬ গ্রাম খরমুজের খোসা নিন, তাতে জল দিন এবং সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। ঠান্ডা করে মিশ্রণটি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন, উপকার পাবেন।

১০. হার্টের সুস্বাস্থ্য : খরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করে হার্টের সুস্বাস্থ্য বডায় রাখে। এই খনিজ উচ্চ রক্তচাপ এবং দেহের ক্ষয় প্রতিরোধ করে (৯)। খরমুজ এডিনোসিন নামক যৌগ সমৃদ্ধ যা হার্টের জন্য উপকারী। এটি কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না।

১১. দুশ্চিন্তা দূর করে : খরমুজে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে যা হার্টবিটকে স্বাভাবিক রাখে এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহকে উদ্দীপীত করে। ফলত আপনি অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য এবং মনোযোগী বোধ করতে পারবেন। এতে আরও সুপার অক্সাইড রয়েছে যা রক্তচাপ কম করে এবং স্নায়ু শিথিল করে স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণে সেলুলার মৃত্যুকে প্রতিরোধ করে (১০)

১২. হজমে সাহায্য করে : ঠান্ডা খরমুজ পাকস্থলীর জন্য সুস্বাস্থ্যকর। এটি পাচনতন্ত্রকে স্বাস্থ্যকর করে তোলে এবং অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে। খরমুজ ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ যা হজমে সাহায্য করে। এটি পাচনতন্ত্রে খাবারের ভালো এবং মসৃণ প্রবাহকে নিশ্চিত করে, ফলত কলোরেক্টাল ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস পায় (১১)

১৩. অনিদ্রা দূর করে : ভালো ঘুম হয় না? অনিদ্রার সমস্যা? তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন খরমুজ। এতে রয়েছে শক্তিশালী রেচক বৈশিষ্ট্য যার মধ্যে রয়েছে ইউনিককমপাউন্ড যা স্নায়ু শিথিল করে এবং উদ্বেগ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। যাদের অনিদ্রার সমস্যা রয়েছে তাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রশমিত করে এবং পর্যাপ্ত ঘুমাতে সাহায্য করে।

১৪. খরমুজ বীজের ঔষধি গুণ : খরমুজের বীজ পিষে খেলে তা অন্ত্রের জীবাণুমুক্ত করে। সেইসঙ্গে এটি সর্দি, কাশি, জ্বর এবং বদহজমের সমস্যা নিরাময়েও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে (১২)

১৫. আর্থারাইটিসের চিকিৎসা :  সঠিক মাত্রায় খরমুজ খেলে বাতের ব্যথা, গাঁটের ব্যথা এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। কারণ এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপদান যা হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা কমায় (১৩)

১৬. খরমুজ চায়ের ঔষধি গুণ : খরমুজের শিকড় দিয়ে খরমুজ চা তৈরি করা হয় যা ঘন ঘন প্রস্রাব এবং বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে।

১৭. কিডনি স্টোন : কিডনির জন্য খরমুজ খুব উপকারী। কারণ এতে রয়েছে পটাসিয়াম, যা কিডনিতে পাথর তৈরি হওয়া আটকায়।

১৮. ত্বকের সুস্বাস্থ্য : শরীরের পাশাপাশি এটি ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এতে উপস্থিত ভিটামিন কে এবং ই ত্বকের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর উচ্চ জলীয় উপাদান ত্বককে ভিতর থেকে হাইড্রেট করে। খরমুজ ভিটামিন বি, কোলাইন এবং বিটাইনের অন্যতম উৎস যা ত্বককে পুনঃরুজ্জীবিত এবং হাইড্রেট করে। ত্বক হয়ে ওঠে তুলতুলে নরম। এর অ্যান্টি এজিং উপাদান ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া রোধ করে। এর মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন সি ফ্রি রেডিকেল দ্বারা ত্বকের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। ত্বক কুঁচকাতে দেয় না, বলিরেখা রোধ করে।

১৯. চুলের সুস্বাস্থ্য : খরমুজের মধ্যে সেইসমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ এবং খনিজ রয়েছে যা চুল ও স্কাল্পের জন্য উপকারী। এর মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন বি চুল পড়া রোধ করে এবং চুলের বৃদ্ধি ঘটায়। খরমুজ অন্যতম প্রাকৃতিক কনডিশনার যা গ্রীষ্মকালে চুলের উজ্জ্বলতা বজায় রাখে।

খরমুজের পুষ্টিগত মান

খরমুজের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি এবং ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম জাতীয় খনিজ যা একে সুস্বাস্থ্যকর করে তোলে। তাছাড়াও এতে রয়েছে জিরো কোলেস্টেরল এবং উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। এবার দেখে নিন খরমুজের পুষ্টিগত মান

পুষ্টিপুষ্টির মানপরিমাপ
এনার্জি৩৪ Kcal১.৫%
কার্বোহাইড্রেট৪.৪ g৬.৫%
প্রোটিন০.৮৪ g১.৫%
টোটাল ফ্যাট০.১৯ g<১%
কোলেস্টেরল০ mg০ %
ডায়েটারি ফাইবার০.৯ g২.২৫%
ভিটামিন
ফোলেটস২১ µg৫%
নিয়াসিন০.৭৩৪ mg৪.৫%
প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড০.১০৫ mg২%
পাইরিডোক্সাইন০.০৭২ mg৫.৫%
থায়ামিন০.০১৭ mg১%
ভিটামিন এ৩৩৮২IU১১২%
ভিটামিন সি৩৬.৭ mg৬১%
ভিটামিন ই০.৫ mg০.৫%
ভিটামিন কে২.৫ mcg২%
ইলেক্ট্রোলাইট
সোডিয়াম১ mg০%
পটাসিয়াম২৬৭ mg৬%
মিনারেল
ক্যালসিয়াম৯ mg১%
কপার৪১ µg৪.৫%
আয়রন০.২১ mg২.৫%
ম্যাগনেসিয়াম১২ mg৩%
ম্যাঙ্গানিজ০.০৪১ mg২%
জিঙ্ক০.১৮ mg১.৫%
ফোটো-নিউট্রিয়েন্টস
ক্যারোটিন-আলফা২০২০ µg
ক্রিপ্টো-জ্যানথিন-বিটা১ µg
লুটেইন-জেক্সানথিন২৬ µg

(সূত্র : ইউএসডিএ ন্যাশনাল নিউট্রিয়েন্ট ডেটা বেস)

কীভাবে খরমুজ বাছবেন এবং সংরক্ষণ করবেন

 খরমুজ কেনার সময় এর মিষ্টি গন্ধ পাবেন। যদি সেই গন্ধ খুব বেশি উগ্র বলে মনে হয় তাহলে বুঝবেন সেটি অতিমাত্রা পাকা, তা খেতেও ভালো লাগে না। ভালো খরমুজ প্রায় সব জায়গায় পাওয়া যায়, একটু শক্ত দেখে খরমুজ কিনুন। খরমুজের উপর কোনও দাগ দেখতে পান তাহলে বুঝতে হবে সেটা পচার লক্ষণ। আলতো করে টিপে দেখলেই তা বুঝতে পারবেন।

ফ্রিজে খরমুজ দুই সপ্তাহ পর্যন্ত রেখে দিতে পারবেন। তবে ফ্রিজে রাখার আগে খরমুজটি ভালো করে প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে নিন। নয়তো এর সুন্দর গন্ধ এবং স্বাদ কমে যেতে পারে।

খরমুজ কীভাবে ব্যবহার করবেন

তরমুজের মতো খরমুজও কেটে শুধুই খেতে পারেন। এছাড়াও এর নানা রেসিপি রয়েছে, এখানে তেমনই কিছু সুস্বাদু রেসিপি দেওয়া হল –

খরমুজ আইসক্রিম 

গ্রীষ্মে শরীর ঠান্ডা রাখতে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন খরমুজ আইসক্রিম।

কী কী প্রয়োজন

  • ৩ কাপ খরমুজ
  • ১টি লেবু

কীভাবে তৈরি করবেন

একটি ব্লেন্ডারে খরমুজের টুকরো নিয়ে ভালো করে পিষে নিন। ঘন এবং মসৃণ মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেলে তাতে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তারপর ফ্রিজে আইসক্রিম তৈরি হতে দিয়ে দিন। ভালোভাবে জমে গেলে ঠান্ডা ঠান্ডা সার্ভ করুন।

খরমুজ স্মুদি

কী কী প্রয়োজন

  • এক কাপ খরমুজ
  • এক কাপ দই
  • বরফের টুকরো
  • চিনি স্বাদ অনুসারে
  • হাফ চামচ আদা

কীভাবে তৈরি করবেন

সমস্ত উপাদানগুলি ব্লেন্ডারে দিয়ে মসৃণ হওয়া পর্যন্ত মিক্স করে নিন। ঠান্ডা ঠান্ডা স্মুদি গ্লাসে ঢেলে নিন। গ্রীষ্মে অসহ্যকর তাপ এড়াতে একগ্লাস স্মুদি খান।

খরমুজের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

আপনি হয়তো জানলে অবাক হবেন, খরমুজের তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এর থেকে অ্যালার্জির লক্ষণও খুব কম দেখা গেছে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী:

খরমুজ ঠান্ডা না গরম প্রকৃতির?

খরমুজ ঠান্ডা প্রকৃতির। তাই তো গ্রীষ্মকালে খাওয়ার জন্য অন্যতম আদর্শ ফল।

খরমুজ বীজের কী কী উপকারিতা রয়েছে

খরমুজ বীজের একাধিক উপকারিতা রয়েছে, সেগুলি হল

১. ব্লাড প্রেসার কম করে।

২. চোখের সুস্বাস্থ্য গড়ে তোলে।

৩. চুল ও নোখের জন্য উপকারী।

৪. ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে।

৫. গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী।

৬. স্ট্রেস কমায়।

৭. অ্যাসিডিটি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

৮. হার্টের জন্য উপকারী।

৯. গ্রীষ্মে শরীর ঠান্ডা রাখে।

কোনটি বেশি উপকারী তরমুজ না খরমুজ?

তরমুজ এবং খরমুজ দুটোই খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই পুষ্টিকর।

রাতে খরমুজ খাওয়া কি উচিৎ?

মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস এবং এসেনসিয়াল ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল শরীরের জন্য উপকারী। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্র বলছে, উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ তরমুজ বা খরমুজ রাতে খেতে পারেন।

খরমুজ কী গর্ভাস্থায় খাওয়া যেতে পারে?

হ্যাঁ, খরমুজ গর্ভাবস্থার জন্য খুব নিরাপদ। এর মধ্যে উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান এবং ফাইবার হবু মা ও সন্তানের জন্য উপকারী।

খরমুখ কী খালি পেটে খাওয়া যেতে পারে?

ফাইবার এবং জলীয় উপাদানের উপস্থিতির কারণে পেঁপে এবং তরমুজের মতো ফল খালি পেটে না খাওয়ায় ভালো।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন